আমাদের উদ্যোগ

samabeto

সমবেত প্রার্থনা

2nd

আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী জীবন

power

আত্মশক্তির জাগরণ

আমাদের কর্মযোগীদের উদ্যোগ

আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী সদস্য

অরিন্দম চ্যাটার্জি

অরিন্দম চ্যাটার্জি

শিক্ষক, রেইকি ও হিলিং

WhatsApp Image 2024-06-11 at 22.34.34 (1)

কল্পনা গুপ্ত

সম্পাদিকা, দিব্যত্রয়ী সেবাশ্রম

asim

অসীম সেন

সভাপতি, দিব্যত্রয়ী সেবাশ্রম

আমার কথা নয়, আমার ভালো লাগে আমাদের কথা বলতে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, I am because We are (UBUNTU) আমরা কারা? আমরা এই কলকাতার নিকটেই মধ্যমগ্রাম নামক মফঃস্বল শহরের একটি ছোট্ট সমাজসেবা মূলক সংগঠন ‘ মধ্যমগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ (MSWS)। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের    জন্মদিনের দিনে কয়েকজন উৎসাহী মানুষ মিলে হাতে হাত রেখে সংকল্প নিয়েছিলেন বিদ্যালয়ের গন্ডির বাইরে চলে যাওয়া , কিংবা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একসাথে তারা কিছু কাজ করবেন।
 
শুরুটা হয়েছিল দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী কিংবা শীতবস্ত্র তুলে দেওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু বহু সমাজকল্যাণভাবনায় ভাবিত মানুষের সহযোগিতাকে পাথেয় করে আস্তে আস্তে পরিসর বাড়তে লাগল কাজের। মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলে , বস্তি এলাকায় তথা গ্রামাঞ্চলে শুরু হল অবৈতনিক পাঠশালা বা কোচিং সেন্টার। পাশাপাশি শিশুদের ও তাদের মাতা-পিতাদের জন্য শুরু হল নিয়মিত মেডিকেল ক্যাম্প করা, চক্ষু পরীক্ষা করা ইত্যাদি। তারপর ২০১৯ এ এলো করোনা   মহামারি ও আম্ফান ঝড়। সেসময়ে মূলত যুবক-যুবতী স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে আমি ও আমরা ঝাঁপিয়ে পড়লাম সমাজসেবার লক্ষ্যে।
 
পৌঁছাতে লাগলাম অক্সিজেন, খাবার-দাবার, ওষুধ ইত্যাদি। আম্ফান ঝড়ের সময়ে সুন্দরবনে বারংবার আমরা ছুটে গেলাম ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে। এভাবেই সুন্দরবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল আমাদের সংগঠনের একটি শাখা। একিভাবে পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামেও বিস্তৃত হল আমাদের সেবা কাজ। এমনকি সেখানকার শবর আদিবাসী গ্রামে শুরু হল আমাদের একটি পাঠশালা, শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় যুবতী বন্দনা শবর, যাকে আর্থিক সহায়তার মধ্যে দিয়ে আমাদের সংগঠন পৌঁছে দিতে পেরেছে উচ্চ শিক্ষার জগতে।

এভাবেই সকলের ইচ্ছা ও সহযোগিতাকে পাথেয় করে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর মাত্র ১ কাঠা জমি কিনে মধ্যমগ্রামের গ্রামাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হল ‘MSWS বিবেকানন্দ আশ্রম’। প্রথম লগ্ন থেকেই আমাদের focus করে নিলাম স্থানীয় শিশুদের মধ্যে শিক্ষা তথা স্বাস্থ্য ও সচেতনতার প্রসারকে। সেই কাজ এগিয়ে চলল তরতরিয়ে। স্থানীয় গ্রামাঞ্চল থেকে মূলত শ্রমিক-কৃষক পরিবারের প্রায় ৫৫ টি বাচ্ছা আমাদের আশ্রমের ছাত্র-ছাত্রী হয়ে উঠল।
সুমন ভট্টাচার্য্য
MADHYAMGRAM STUDENTS’ WELFARE SOCIETY
(secretary)
ঠিকানাঃ মধ্যমগ্রাম , কলকাতা – ৭০০১৩০

আমি পরে পাঠাব

অরিন্দম চ্যাটার্জি একজন ঐতিহ্যগতভাবে প্রশিক্ষিত উসুই রেইকি শিক্ষক তিনি নিয়মিত Usui Reiki, Karuna Reiki, Angel Reiki, Money Reiki, Crystal Reiki, Kundalini Reiki অনুশীলন করেন। তিনি প্রাণিক নিরাময়কারী হিসাবে যাত্রা শুরু করেছেন। তিনি অন্যান্য নিরাময় পদ্ধতি যেমন ট্যারোট রিডিং এবং সাত চক্র নিরাময়, গাইডেড মেডিটেশন, Law Of Attraction এর উপর বিভিন্ন কর্মশালা পরিচালনার করে থাকেন।  তিনি বিশেষভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন  বিশ্বের পবিত্র মাতৃধ্যান ও মাতৃ শক্তির তরঙ্গের মাধ্যমে মানুষের মনকে আলোকিত  করা , যাতে তারা তাদের জীবনকে আরও ভালোভাবে বিকশিত করতে পারেন এবং সম্পূর্ণরূপে জীবনযাপন করতে পারেন।

 

 “আমি ভয় পাব না, মা আমার সাথে আছেন। আমি হতাশ হব না, মা আমার শক্তি। মা সর্বদা আমাকে রক্ষা করছেন, আমার অকল্যাণ হবে না”

 

বুক ভরে  শ্বাস নিন এবং এই শব্দগুলি আপনার মনে বলতে থাকুন, ভয় এবং অনিশ্চয়তার মুহুর্তগুলিতে। মনে রাখবেন যে আপনি একা নন। আপনার নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপের সাথে, জেনে রাখুন যে আপনার মা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কল্পনা করুন এই শব্দগুলির শক্তি আজ থেকে আপনার মধ্যে অনুরণিত হচ্ছে, আপনাকে সাহস এবং আশ্বাস দিয়ে পূর্ণ করছে। আপনি যে কোনো অন্ধকারের মধ্যে তাদের আশার আলোকবর্তিকা হতে দিন। বিশ্বাস করুন যে মায়ের উপস্থিতি আপনাকে ঘিরে রয়েছে, আপনাকে যে কোনও বাধা অতিক্রম করার শক্তি প্রদান করছে।

 

আপনি জীবনের চ্যালেঞ্জ নেভিগেট করার সময়, নিজেকে এই সত্যটি মনে করিয়ে দিন: আপনি কখনই একা নন। মা আপনার পাশে হাঁটছেন, তার অটল সমর্থন এবং ভালবাসা প্রস্তাব। আপনি যখন দুর্বল বোধ করেন তখন তিনি আপনাকে শক্তিশালী করবেন এবং যখন আপনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে তখন তিনি আপনাকে সাহায্য করবেন।
আমি কল্পনা গুপ্ত। বাসস্থান – বর্ধমান শহরের কেন্দ্রস্থলে রাজবাড়ির নিকট। পোস্ট: নতুনগঞ্জ। দিব্যত্রয়ী সেবাশ্রমের অফিসিয়াল ঠিকানা এটি।

আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা- ভূগোল বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং বি. এড.। আমি ভূগোল বিষয়ের একজন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের নাম – আঝাপুর হাই স্কুল, পূর্ব বর্ধমান জেলা। এই গ্রামটি তরু দত্তের মতন ক্ষণজন্মা কবিরও জন্মস্থান।আমার বয়স বর্তমান বয়স ৬১।দেহাবদ্ধ সমস্যায় সুগার, প্রেসার, চোখের সমস্যা ইত্যাদি এই বয়সে যা যা হয়ে থাকে, তা আছে। অতিক্রম করলে ছোটাছুটিতে অভ্যস্ত।ভালো লাগার বিষয় – প্রথমত পড়া। এছাড়া ভ্রমণ খুব প্রিয়, অনেকটা নেশার মতন। গান এখন গাইবার অভ্যাস নেই কিন্তু শোনার অভ্যাস সর্বদা।
 
সামাজিক কাজকর্মে আগ্রহ। দিব্যত্রয়ীর ভাবনায় ডুবে যেতে ভালো লাগে।আগ্রহ – বিজ্ঞান মনস্কতার প্রতি। বিজ্ঞণ বিষয়ক নাটক দেখা। এই বিষয়ক লেখা পড়া। বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ। কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গঠণ। বিজ্ঞান মঞ্চের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলাম।​
অসীম সেন এইচ এস, বি কম, বি এড (প্রথম শ্রেণী) পাশ করেছেন। স্কুলে ৭ বছর এবং তারপর সরকারি কর্মী হিসাবে ৩১ বছর কাজ করেছেন। ১৯৭৮ সালে তিনি স্বামী বীরেশ্বরানন্দজী মহারাজের শিষ্য হন।
 
১৫ বছর ধরে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ মাসারদা সেবা সঙ্ঘের সাথে যুক্ত আছেন। ৮ বছর তিনি প্রসিডেন্ট হিসাবে এবং ১ বছর সেক্রেটারি ও ১ বছর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন। ঠাকুর, মা, ও স্বামীজীর আদেশ ও বাণীতে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সব কাজকে দিব্যত্রয়ের আদেশ বলে মনে করেন। সেই পরম অনুভূতির বিষয় ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তিনি বিশ্বাস, ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও ব্যাকুলতা দিয়ে উপলব্ধি করেন। প্রতিদিন জপ, স্তব, স্তোত্র, গান, স্বামীজী, সারদা মা, গীতা পাঠ শোনেন, আর কথামৃত তাঁর খুব প্রিয়।
 
বর্তমানে তিনি দিব্যত্রয়ী সেবাশ্রমে একজন সক্রিয় সদস্য ও সভাপতি হিসাবে রয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় রামকৃষ্ণ মিশনে থেকেছেন। দেশ ও বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করেছেন। সবই তাঁর ইচ্ছায় বা ঈশ্বরের অসীম কৃপায় হয়েছে।​